সারাদেশে বিভিন্ন ক্যান্সার রোগের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ফ্যাটি লিভারজনিত ও স্তন ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ এখন দেশের মানুষের প্রাণহানির বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, অথচ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রতিরোধ সম্ভব।
রোববার (২ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, শনিবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সিঙ্গাপুরের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর তো হান চংয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বর্তমানে অ-সংক্রামক রোগ যেমন ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ মৃত্যুর প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে। তার মতে, এসব রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল এবং সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে, তাই প্রতিরোধই সবচেয়ে কার্যকর পথ।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, এ রোগগুলো সম্পর্কে সারা দেশে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। ক্যান্সার বা হৃদরোগের চিকিৎসা অনেক সময় নাগালের বাইরে চলে যায়। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সহজ ও সাশ্রয়ী করতে হবে, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের জন্য।
বৈঠকে প্রফেসর তো হান চং বলেন, ফ্যাটি লিভার এখন দক্ষিণ এশিয়ার শত কোটি মানুষের শরীরে নীরবে বাসা বাঁধছে, যা ভবিষ্যতে লিভার ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগের কারণ হতে পারে। ‘এ রোগ নিয়ে আরও বড় পরিসরে সচেতনতা জরুরি’ বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা নারীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণ কর্মসূচি আরো বিস্তৃত করার ওপর জোর দেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে চিকিৎসা খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান, বিশেষ করে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে।
প্রফেসর তো হান চং চলতি সপ্তাহে সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বাংলাদেশি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন উল্লেখ করে আশা প্রকাশ করেন, এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি প্রতিবছর নিয়মিতভাবে চলবে।
