অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ সর্বশেষ

উজবেকিস্তানের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনে গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

উজবেকিস্তানের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনে গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক স্বার্থে উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে উজবেকিস্তানে সার কারখানা স্থাপন করতে আগ্রহী এবং উজবেকিস্তান বাংলাদেশে তার দূতাবাস স্থাপনের আশা করছে।

বিনিয়োগ ও বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং উজবেকিস্তান প্রজাতন্ত্রের বিনিয়োগ ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী জামশিদ আবদুরাখিমোভিচ খোদজায়েভ গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তান উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধার্থে বিভিন্ন ক্ষেত্র অন্বেষণ করতে একসঙ্গে কাজ করা উচিত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণ ও প্রাণবন্ত জনশক্তিকে পুঁজি করে সারাদেশে ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উজবেকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৩ সালে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ সফরের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, সেই সফর দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করেছে এবং বছরের পর বছর তা আরও শক্তিশালী হয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, স্থানীয় বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করার জন্য বাংলাদেশ কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও শিল্পায়নের ওপর জোর দিচ্ছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ সব দেশের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে এবং এর জন্য জনগণের ভোগান্তি হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিশ্ব সংকটের মধ্যে বাংলাদেশ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে।

উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘমেয়াদী বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাকে আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

খোদজায়েভ বলেন, ‘বাংলাদেশ উজবেকিস্তানের সম্ভাবনাময় অংশীদার এবং আমরা এটিকে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বে রূপান্তর করতে চাই।’

তিনি বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।

উজবেক উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, উজবেকিস্তান সিআইএস (কমনওয়েলথ ইন্ডিপেনডেন্ট স্টেটস) দেশগুলোর একটি ভাল কেন্দ্র কারণ, এখানে ব্যবসা বাণিজ্য বিকাশের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি ফার্মাসিউটিক্যালস ও আইসিটি খাতে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।

সফররত উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং কৃষি খাতের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, তারা ঢাকায় উজবেক দূতাবাস স্থাপনের আশা করছেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

সম্পর্কিত খবর

বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসায় জাতিসংঘ মহাসচিব

gmtnews

‘২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২২’ উদ্বোধন

gmtnews

বিয়ের চাপ থেকে পালিয়ে যেভাবে মার্কিন বিমানবাহিনীতে পাকিস্তানি নারী

Hamid Ramim

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত