অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ সর্বশেষ

উন্নয়নে শ্রমিক-মালিকের পরিপূরক ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

উন্নয়নে শ্রমিক-মালিকের পরিপূরক ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন ও দেশের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে শ্রমিক ও মালিকদের একে অপরের প্রতি দায়িত্বশীল ও পরিপূরক ভূমিকা পালনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

কোন সমস্যার সৃষ্টি হলে অহেতুক বিদেশিদের পিছনে না ছুটে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধানের আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘কোন একটি কারখানা যদি তৈরী হয় তাহলে মালিক সেখানে পুঁজি দেয় আর শ্রমিক শ্রম দেয়। মালিকের পুঁজি এবং শ্রমিকের শ্রম নিয়েই কারখানা চালু থাকে, উৎপাদন বাড়ে এবং দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধশালী হয়।’

‘একটি প্রতিষ্ঠান চালাতে গেলে সকলেরই দায়িত্ব থাকে আর সেক্ষেত্রে মালিকের দায়িত্ব থাকে শ্রমিকের ওপর অন্যদিকে শ্রমিকের দায়িত্ব থাকে মালিকের ওপর,’ উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে গতকাল প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

তিনি বলেন, যে কারখানা পরস্পরের রুটি রুজি এবং জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করে তা যেন ভাল ভাবে সচল থাকে সেটা যেমন শ্রমিকের দেখার দায়িত্ব, তেমনি শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য মজুরি পাচ্ছে কিনা এবং তাদের জীবন মান উন্নত হচ্ছে কি না বা কাজের পরিবেশ পাচ্ছে কি না সেটাও মালিকদের দেখতে হবে। তাহলেই উৎপাদন বাড়বে এবং মালিক, দেশ এবং শ্রমিক সকলেই লাভবান হবে।

আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে এদেশের শ্রমিক, কৃষক, মেহেনতি জনতার ভাগ্য পরিবর্তনে এবং জাতির পিতার যে আকাঙ্খা এদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো- সে প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমাদের দেশকে উন্নত করার ক্ষেত্রে  এই শ্রমিক শ্রেনীর অবদানটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। শ্রমিক এবং মালিকদের মধ্যে যদি সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক না থাকে তবে কখনই উন্নয়ন হয় না।

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মুজিবুল হক এবং বাংলাদেশে আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পটিয়ানেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। জাতীয় শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নান শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে এবং বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আর্দাশির কবির মালিক পক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী স্বাগত বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকান্ডের ওপর একটি ভিডিও চিত্র পরিবেশিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ১০ শ্রমিক পরিবারের মধ্যে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তার চেকও বিতরণ করেন।

তাঁর সরকার শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও কতিপয় শ্রমিক নেতার বিদেশিদের কাছে নালিশ জানানো প্রবনতার সমালোচনাও করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে আরো বলেন, আমরা যে শ্রমিকদের জন্য এত কাজ করেছি তারপরেও আমরা দেখি যে, আমাদের দেশে কিছু কিছু শ্রমিক নেতা আছেন তারা কোন বিদেশি বা সাদা চামড়া দেখলেই তাদের কাছে নালিশ করতে খুব পছন্দ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি না এই মানসিক দৈন্যতা কেন, নাকি এরসঙ্গে অন্য কোন স্বার্থ জড়িত আছে, সেটা আমি জানি না।

আওয়ামী লীগ যতক্ষণ সরকারে রয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যতক্ষণ ক্ষমতায় রয়েছেন সে সময় দেশের ভেতর শ্রমিকদের যে কোন সমস্যা তিনি সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন বলেও উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, আমি এটা বিশ্বাস করি-কোন সমস্যা হলে আমাদের দেশের মালিক এবং শ্রমিকরা একসঙ্গে বসে সেটা সমাধান করতে পারেন। কাজেই কেন নিজের দেশের বিরুদ্ধে অন্যের কাছে বলতে বা কাঁদতে যাব। আমরাতো এটা চাই না। কেননা, বাংলাদেশ তার আত্মমর্যাদা নিয়েই চলবে।

সম্পর্কিত খবর

অধিনায়ক নাজমুলের প্রেরণা সাকিব-ধোনি

Shopnamoy Pronoy

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনাদের প্রতিরক্ষা বাড়ানো হচ্ছে, তাই ইসরায়েলের স্থল অভিযানে দেরি

Hamid Ramim

ঢাকায় চীনের ৭৪তম জাতীয় দিবস উদযাপন

Zayed Nahin

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত