ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় সকাল থেকে আরও ৭৩ জনের প্রাণ গেছে। এর মধ্যে ৩৩ জনই ত্রাণপ্রত্যাশী।
হাসপাতাল সূত্র আল জাজিরাকে এমনটি জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাস্থলের বর্ণনায় বলেন, ইসরায়েলি ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রগুলোর কাছে তারা ‘উসকানিহীন গুলিবর্ষণ’ ও ‘ভীতিকর দৃশ্য’ প্রত্যক্ষ করেছেন।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসের পশ্চিমের আল-মাওয়াসি এলাকায় একটি ত্রাণশিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের এক দম্পতি ও তাদের চার সন্তান রয়েছে।
আরেকটি হামলা হয়েছে গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়কেন্দ্র মুস্তফা হাফেজ স্কুলে। সেখানে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন।
নাবুলসি গোলচত্বরের কাছে ত্রাণপ্রত্যাশীদের ওপর হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় আরও এক ইসরায়েলি হামলায় অন্তত তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয়ের তথ্যমতে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৩০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সংস্থাটি বলেছে, এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েল ২৬টি ‘রক্তাক্ত হত্যাকাণ্ড’ চালিয়েছে।
এদিকে হামাস জানিয়েছে, গাজায় একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব তারা পর্যালোচনা করছে। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৭ হাজার ১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখ ৩৪ হাজার ৫৯২ জন আহত হয়েছেন।