অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
অন্যান্য বাংলাদেশ সর্বশেষ

পাহাড়ের মানুষেরা বুক উঁচিয়ে পরিচয় দেবেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

তিন পার্বত্য জেলার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘আপনারা নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে টিকে থাকবেন। যেখানেই যাবেন, বুক উঁচিয়ে পরিচয় দেবেন। বলবেন, আমি চাকমা, মারমা কিংবা ত্রিপুরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভা ও প্রীতি সম্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। বিঝু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু, বিহু ও সাংক্রানের মতো ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক উৎসবগুলো উদ্‌যাপন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এটি আয়োজন করে ঢাকায় বিঝু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু, বিহু ও সাংক্রান পুনর্মিলনী উদ্‌যাপন কমিটি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিন পার্বত্য জেলার (বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি) বিভিন্ন জায়গায় আমি ঘুরেছি। কষ্ট হয় যখন দেখি, পাহাড়বাসী পিছিয়ে পড়ছেন। তাঁরা অনেক সুবিধাবঞ্চিত। আপনাদের মুখে হাসি ফোটাতে সমস্যা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করি এবং করছি, যাতে বিশ্বাস রেখে, নিশ্চয়তা নিয়ে এগিয়ে আসতে পারেন। সাংবিধানিক অধিকারের বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘সাংবিধানিকভাবে আপনাদের ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য রক্ষায় আমরা বাধ্য। এগুলো আপনাদের সাংবিধানিক অধিকার। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এসব রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পাহাড়বাসীর ঐক্য একটি স্বতন্ত্র ঐক্য। পাহাড়-ঝরনার নৈসর্গিক সৌন্দর্য আর পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের সরলতায় আশ্চর্য হই। আপনারা জাতি-ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে সবাই মিলেমিশে থাকেন। পিছিয়ে থাকা পাহাড়বাসীকে এগিয়ে নিতে ঢাকাবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে ৫০টির মতো ও তিন পার্বত্য জেলায় ১৩টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের বাস। তাঁরা সবাই পাহাড় ভালোবাসেন। তাঁদের অনেক কিছু দিলেও বোধ হয় শহরে আসবেন না। মানুষগুলো আলোকিত করতে এগিয়ে যেতে হবে। যাঁরা ঢাকায় বসবাস করেন তাঁরা পাহাড়ে থাকা মানুষদের কাছে পৌঁছানোর সেতু হিসেবে কাজ করবেন। এতে পাহাড়ের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান হবে।অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের পক্ষ থেকে কিছু দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া তাঁর মাধ্যমে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা আবার চালু করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়।

 

সম্পর্কিত খবর

ঢাকা ২০৩০ সালের মধ্যে ভিন্ন রেল যোগাযোগের সাক্ষী হবে: প্রধানমন্ত্রী

gmtnews

৭ গোল দিয়ে নেশনস লিগে সবচেয়ে বড় জয় জার্মানির

gmtnews

শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চলছে রাসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত