August 26, 2025
অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ সর্বশেষ

যুগোপযোগী প্রশিক্ষণে আনসার বাহিনীকে গড়ে তোলা হচ্ছে: মহাপরিচালক

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর আনসার, এপিসি ও পিসি সদস্যদের সতেজকরণ প্রশিক্ষণ (৫ম ধাপ), ২০২৫ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত দক্ষতা দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিরাপত্তায় নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে উল্লেখ করেছেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।

শনিবার (২৩ আগস্ট) গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।

মহাপরিচালক বলেন, আনসার বাহিনীর সদস্যদের শুধু সংখ্যাগত উপস্থিতি নয়, বরং নিরাপত্তা সেবার গুণগতমান উন্নয়নের লক্ষ্যেই এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। গ্রামীণ জনপদ থেকে শুরু করে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যন্ত নিরাপত্তা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের অঙ্গীকার নিয়ে এ বাহিনী কাজ করছে। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বাহিনী ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, আনসার বাহিনী চারটি স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত। ভিডিপি, টিডিপি, উপজেলা ও থানা আনসার, অঙ্গীভূত আনসার এবং ব্যাটালিয়ন আনসারের দায়িত্ব ভিন্ন হলেও দেশের সার্বিক নিরাপত্তায় প্রতিটি সাংগঠনিক কাঠামোই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটালিয়ন আনসার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর সাথে দায়িত্ব পালন করছে, আর অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা পয়েন্ট সিকিউরিটিতে কেপিআই ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। তারা সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে, যা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অপরিহার্য। উপজেলা আনসার সদস্যরা মিশন ও দায়িত্ব অনুযায়ী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও প্রান্তিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। ভিডিপি ও টিডিপি সদস্যরা সামাজিক আন্দোলন ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা হুমকি প্রতিরোধে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখছে।

সতেজকরণ প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ বাহিনী গড়ে তুলতে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। সমাজ ও মানুষের প্রয়োজনের সঙ্গে এ বাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত। তাই কোনো অদক্ষ সদস্য এ বাহিনীতে স্থান পাবে না। নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আনসার বাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা হবে। বিশেষ করে কেপিআই নিরাপত্তায় এ প্রশিক্ষণ নতুন মাত্রা যোগ করবে।

এবারের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ১০ আগস্ট থেকে ২৩ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমি, সফিপুর, গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ১ হাজার ১৬০ জন সদস্য অংশ নেন। এর মধ্যে ১ হাজার ১৩৬ জন সফলভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেন।

প্রশিক্ষণকালীন মৌলিক শরীরচর্চা, অস্ত্র ও সাধারণ ড্রিল, শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, দায়িত্ব ও শৃঙ্খলা, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, সংগঠন ও বিধি-বিধান, সামাজিক সচেতনতা, মাদকবিরোধী কার্যক্রম, নারী ও শিশুর সুরক্ষা, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ এবং সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক শিক্ষা দেওয়া হয়।

অতীতের অবদান স্মরণ করে মহাপরিচালক বলেন, ৫ আগস্ট যখন সারা দেশ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল এবং অনেক থানাই অরক্ষিত হয়ে পড়েছিল, তখন আনসার বাহিনীর সদস্যরা সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমাজ ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে আগামীতে আনসার-ভিডিপি সদস্যরা সুপ্রশিক্ষিত ও সক্ষম হয়ে আস্থার স্বাক্ষর রাখবে।

অনুষ্ঠানের শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া প্রশিক্ষণে বিশেষ কৃতিত্বের জন্য তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়— তারা হলেন তরিকুল ইসলাম, মো. বারিক ও মাইনুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফিদা মাহমুদ, উপ-মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. রফিকুল ইসলাম, একাডেমি কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ নুরুল আবছারসহ বাহিনীর বিভিন্ন পদবীর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

সম্পর্কিত খবর

নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করছে : নসরুল

gmtnews

করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, সবাইকে সতর্ক হতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

gmtnews

দুর্যোগ মোকাবিলায় উদাহরণ বাংলাদেশ

Zayed Nahin

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত