অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ রাজনীতি

রাষ্ট্রপতি হওয়ার যোগ্যতা আমার নেই: ওবায়দুল কাদের

দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়ার যোগ্যতা নিজের নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রথমে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্তির পর ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২১তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন তিনি। সংবিধান অনুযায়ী, তৃতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হওয়ার সুযোগ নেই। তাই নতুন রাষ্ট্রপতি কে হবেন, তা নিয়ে একটা আলোচনা আছে। আজ এমন একটি প্রেক্ষাপটে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘ওই পদে বসার যোগ্যতা আমার নেই। দলে সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন। তিনি ভাবছেন। খোঁজখবর নিচ্ছেন, তাঁর মাথায় কেউ থাকতেও পারে। বিএনপির সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা একবার বলে ১০ দফা, আবার বলে এক দফা। তারপর দেখলাম ২৩ দল, আবার ৫৪ দল। এখন শুনলাম আবার ৫২ দল একসঙ্গে ১৬ জানুয়ারি কর্মসূচি পালন করবে। অতি বাম, অতি ডান মিলেমিশে একাকার। এখন তাদের এই জগাখিচুড়ি ঐক্যের শেষ কোথায়? গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত বিএনপির গণ-অবস্থান কর্মসূচি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশ দেখলাম, বড় হয়েছে, অস্বীকার করে লাভ নেই। আমাদের দুটো মিটিংও অনেক বড় হয়েছে। তাদের এই যে এত জোট, প্রেসক্লাবের সামনে, বিজয়নগরে, দেখলাম ফুটপাতে বসে আছে সমমনা ১২ দল। প্রেসক্লাবের সামনে দেখলাম, কয়েকটি চেয়ার, সেখানে আবার তাদের কর্মীদের চেয়ে সাংবাদিক বেশি। অর্থহীন এই ঐক্য কতটা টেকসই, তা সময় গড়ালেই বোঝা যাবে। গতবার নির্বাচনের আগে ২১ দল ছিল, নির্বাচনের সময় সব এদিক-ওদিক হয়ে গেল, ঐক্যের চেহারাই থাকল না। আওয়ামী লীগ রাজপথে থাকবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা রাজপথ ছাড়ব না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে, আমাদের বিক্ষোভ করার কিছু নেই। শান্তি সমাবেশ করব। শান্তির শোভাযাত্রা করব। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা আমাদের দায়িত্ব। আমরা সতর্ক অবস্থানে থাকব। বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের তো কোনো নেতা নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে আমাদের নেতৃত্ব দেবেন। তাদের কে? তারা কখনো বলে বেগম জিয়া, কখনো বলে তারেক রহমান তাদের নেতা। কিন্তু তাদের নির্বাচন করার যোগ্যতা নেই। তারা অভিযুক্ত আসামি। গতবার কামাল হোসেন ছিলেন। পরে তাঁর মানসম্মানও বিঘ্নিত হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত তিনিও (কামাল) হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু এবার কী হবে, সময় বলে দেবে।জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো সমঝোতা হয়নি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছি। ভিন্ন কোনো উদ্যোগ নেওয়া যুক্তিসংগত নয় বলে আমরা মনে করি। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ ধরনের প্রক্রিয়া শুরু করার ব্যাপারে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’ বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনে জামায়াতের অবস্থানের বিষয়ে ওবায়দুল  কাদের বলেন, জামায়াত ছাড়া বিএনপির টিকে থাকা দুষ্কর। নেতিবাচক রাজনীতি করতে করতে বিএনপি যেখানে গিয়ে পৌঁছেছে, তাদের বড় সমাবেশ, বড় মিছিল করতে হলে জামায়াতকে দরকার। জামায়াতের একটি সমর্থক-কর্মীর ব্যাংক আছে। কাজেই সমাবেশ বড় করতে হলে, মিছিলে লোক বেশি আনতে হলে জামায়াত ছাড়া বিএনপির চলবে না। বিএনপি-জামায়াতকে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা বারবার একই কথা বলেছি, সাম্প্রদায়িক শক্তির পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর বিশ্বস্ত ঠিকানা বিএনপি। বিএনপি-জামায়াত একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তাদের একটিকে ছাড়া আরেকটির চলবে না।’

 

সম্পর্কিত খবর

বিরতির পর জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু

News Editor

শাহজালাল বিমানবন্দরে আজ তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন – যাত্রীদের জন্য থাকছে যেসব সুবিধা

Zayed Nahin

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন সেতুমন্ত্রী

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত