অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ সর্বশেষ

এসএসসি-এইচএসসির পরীক্ষার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ চলতি সপ্তাহে

এসএসসি-এইচএসসির পরীক্ষার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ চলতি সপ্তাহে

করোনা পরিস্থিতিতে ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ চলতি সপ্তাহে। সংক্ষিপ্ত আকারে পরীক্ষা নাকি অটোপাস দেওয়া হবে সে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। চলতি সপ্তাহে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষামন্ত্রী এ বিষয়ে ঘোষণা দেবেন বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ব্যাপারে একাধিক প্রস্তাবনা তৈরি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই প্রস্তাবনার ব্যাপারে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সিদ্ধান্ত হাতে আসলেই এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলন করবেন শিক্ষামন্ত্রী।

সোমবার (১২ জুলাই) দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, এই দুটি পাবলিক পরীক্ষার না নিতে পারলেও বিকল্প পদ্ধতিতে গ্রেড দেওয়া হবে। গত বছরের মতো এবার অটো পাস দেওয়া হবে না। ঈদের পর পর পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের উদ্বেগ দূর করতে পরীক্ষার বিকল্প কী কী হতে পারে তার রোডম্যাপ প্রকাশ করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

এ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বলেন, “যেহেতু আপাতত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাচ্ছে না, তাই যত বিকল্প পদ্ধতি আছে সেগুলোর প্রস্তুতি শেষ করে রাখছি। যখন যেটা প্রয়োগ করা যায়, সেটাই বাস্তবায়ন করা হবে। এজন্য শিক্ষাবোর্ড ও বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারাই পরীক্ষার বিকল্প মতামত দেবেন। আমাদের মূল লক্ষ্য, মূল্যায়ন করেই শিক্ষার্থীদের গ্রেড দেওয়া হবে। সেজন্য যত বিকল্প আছে সবগুলো নিয়েই বিশ্লেষণ চলছে।”

এই দুই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে বিকল্প পদ্ধতিতে পাস করানোর চিন্তাভাবনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ জন্য একাধিক প্রস্তাব তৈরি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছিল। প্রস্তাবে বলা হয়, রচনামূলক বা সৃজনশীল প্রশ্ন বাদ দিয়ে কেবল বহু নির্বাচনী প্রশ্নে (এমসিকিউ) পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। বিষয় ও পূর্ণমান (পরীক্ষার মোট নম্বর) কমিয়েও পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রতি বিষয়ের দুই পত্র একীভূত করা যায়।

আরও প্রস্তাব করা হয়, ২০০ নম্বরের বদলে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে উভয়ক্ষেত্রেই করোনা পরিস্থিতির উন্নতি জরুরি। অর্থাৎ সংক্রমণ ১০ শতাংশের নিচে নেমে এলে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে কেন্দ্রের সংখ্যা বর্তমানের তুলনায় দ্বিগুণ করে এই পরীক্ষা নেওয়া যায়।

এটি সম্ভব না হলে এসএসসির ক্ষেত্রে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফলের ৫০ শতাংশ এবং অ্যাসাইনমেন্ট ও শ্রেণিকক্ষের কার্যক্রমের ওপর ৫০ শতাংশ ফলাফল নিয়ে ফল প্রস্তুত করা যায়। এইচএসসির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর এসএসসির ফলের ৫০ শতাংশ, জেএসসির ২৫ শতাংশ এবং অ্যাসাইনমেন্টের ফলের ২৫ শতাংশ সমন্বয় করে ফল প্রকাশের জন্যও প্রস্তাব করা হয়েছিল।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিটের (বেডু)এ বিশেষজ্ঞ কমিটি বলেছে পরীক্ষা না নিতে পারলে সেটির উত্তম বিকল্প কি হতে পার সে চিন্তা করছেন তারা।

সম্পর্কিত খবর

মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানো হবে না: সেনাপ্রধান

gmtnews

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না: আজরা জেয়া

Zayed Nahin

ব্রাজিলের beach volleyball চ্যাম্পিয়ন জুটি একটি সোনালী স্মৃতি পুনরায় জীবিত করলেন

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত