জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও একনেকের সভা বন্ধ হয়ে যাবে— প্রশাসনের ভেতরে এমন ধারণা ভুল বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেছেন, নির্বাচনকালীন সময়েও উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) শেরেবাংলা নগর এনইসি ভবনে একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে ১৯টি উন্নয়ন প্রকল্প একনেকের সামনে উপস্থাপন করা হয়। তবে মাস্টারপ্ল্যান পর্যালোচনা এবং স্বাস্থ্য খাতের দুটি বড় প্রস্তাব আরও যাচাইয়ের জন্য ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব প্রস্তাব আমরা ভালোভাবে পর্যালোচনা করব এবং কোন পর্যায়ে অনুমোদন দেওয়া যায়, তা পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দেশের গণমাধ্যমের পরিবেশ নির্বাচনকালীন সময়ে আরও সংবেদনশীল হয়ে উঠবে মন্তব্য করেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে ভারসাম্যপূর্ণ প্রচার নিশ্চিত করতে পরিষ্কার নির্দেশনা প্রয়োজন হতে পারে। বড় রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সমান প্রচার নিশ্চিত করতে কোনো সাময়িক সম্প্রচার নীতিমালা বা অধ্যাদেশ প্রয়োজন কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলছে।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) প্রশাসনকাঠামো সংস্কার নিয়েও কথা চলছে। আন্তর্জাতিক পাবলিক ব্রডকাস্টারের মতো সম্মানিত সাংস্কৃতিক ও জনপরিচয়ের ব্যক্তিত্বদের নিয়ে গঠিত একটি স্বাধীন পরিচালনা পর্ষদ থেকে সম্পাদকীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার মডেল বিবেচনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এখন থেকে মানুষের মনোযোগ থাকবে রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য কেন্দ্র করে। তাই গণমাধ্যমে নিরপেক্ষতা ও ভারসাম্য নিশ্চিত করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
