December 10, 2025
অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
ক্রিকেট খেলা বিনোদন বিশ্ব সর্বশেষ

‘বাইসনে’র কারণে নিজের ‘জীবন’ পাওয়া দেখতে পাননি ওয়ার্নার

অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে তখন পঞ্চম ওভার। অফ স্টাম্পের বাইরে খাটো লেংথে বল করেছিলেন শাহিন আফ্রিদি। ওয়ার্নার স্ট্রেটের ওপর দিয়ে তুলে মারতে চেয়েছিলেন। ব্যাটে ঠিকমতো লাগাতে পারেননি। বল উঠে যায় মিড অনে। কে জানত, সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা পাকিস্তানি ফিল্ডার উসামা মির মোয়ার মতো ক্যাচটা নিতে পারবেন না!

একদম হাতের ওপর নেমে আসা ক্যাচটি মির অবিশ্বাস্যভাবে ফেলে দেন। ম্যাথু হেইডেনের মতে, শরীরের খুব কাছ থেকে ক্যাচটি নেওয়ার চেষ্টা করে ভুল করেছেন পাকিস্তান ফিল্ডার। তবে আরও অবিশ্বাস্য ব্যাপার হলো, ক্যাচটি যিনি তুলেছিলেন, সেই ডেভিড ওয়ার্নার নিজেই এই ক্যাচ মিস দেখতে পাননি!

সাধারণত, ব্যাটসম্যান শট খেলে বলটি দেখেন। আর ক্যাচ তুললে তো কথাই নেই। ফিল্ডার ক্যাচটি নিতে পেরেছেন কি না, সেটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখেন ব্যাটসম্যান। কিন্তু গতকাল বেঙ্গালুরুতে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে নিজের তোলা ক্যাচ উসামা মিরের ফেলে দেওয়াটা দেখতে পারেননি ওয়ার্নার। পারেননি—কথাটা বলতেই হচ্ছে, কারণ ওয়ার্নারের দাবি, তাঁর সামনে ছিলেন ‘বাইসন’। সে জন্য ক্যাচ মিসটা দেখতে পাননি। বাইসন? দেখতে মহিষের মতো চতুষ্পদ এই প্রাণী তো মাঠে ছিল না! তাহলে বাইসনটা কে?

ভিডিও রিপ্লেতে দেখা গেছে, ওয়ার্নার শট খেলার পর হতাশায় পয়েন্টের দিকে একটু সরে যান। সে সময় নন–স্ট্রাইক প্রান্তে ছিলেন মিচেল মার্শ। তাঁর ঠিক পেছনেই একটু দূরে দাঁড়িয়ে ফিল্ডিং করছিলেন উসামা মির। অর্থাৎ, ওয়ার্নার যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন, সেখান থেকে উসামা মিরের ক্যাচ মিস দেখায় বাধা হতে পারেন একজনই—মিচেল মার্শ!

অস্ট্রেলিয়া ৬২ রানে জেতার পর ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে সে কথাই বলেছেন ওয়ার্নার, ‘আমি আসলে তার ক্যাচ মিস করাটা দেখতে পাইনি। আমি “বাইসন”–এর (মিচেল মার্শের নাম) পেছনে ছিলাম। আমি আসলে (শটটা খেলে) খুশি হতে পারিনি। (ওই বলে) সিঙ্গেলও নিইনি। ওপেনিং ব্যাটসম্যান হলে ব্যাপারটা এমনই। মারতে গেলে সুযোগ দিতেই হয়।’

কিন্তু পাকিস্তান ওয়ার্নারের দেওয়া সুযোগটা ফেলে দেওয়ার খেসারত দিয়েছে। ১৬৩ রানের ইনিংস খেলে পরে ম্যাচসেরাও হন ওয়ার্নার। অন্য প্রান্তে মার্শ খেলেন ১২১ রানের ইনিংস। অস্ট্রেলিয়া দলে মার্শকে ‘বাইসন’ তকমা দিয়েছিলেন সাবেক পেসার জেসন গিলেস্পি। সেটি নাকি তাঁর বাইসনের মতো বড় মাথার কারণে। নিজের ৩২তম জন্মদিনে সেঞ্চুরি পাওয়ায় ওয়ার্নার মার্শেরও প্রশংসা করলেন, ‘সে আমাকে বলেছিল, জন্মদিনে কখনোই সেভাবে রান পায়নি। তাই তার খুশিই হওয়ার কথা। আর ভারতীয় ঐতিহ্য অনুযায়ী তো আজ (গতকাল) রাতে তার মুখে কেক মাখা হবে।’

ওয়ানডেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে এ নিয়ে টানা চার সেঞ্চুরি করলেন ওয়ার্নার। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে সিডনিতে ১৩০ রানের ইনিংস খেলার পর এই ছয় বছরে আরও তিনবার পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছেন ওয়ার্নার। এই তিন ম্যাচে তাঁর স্কোর—১৭৯, ১০৭ ও ১৬৩। এর মধ্য দিয়ে কোনো দলের বিপক্ষে বিরাট কোহলির গড়া টানা সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডেও ভাগ বসালেন ওয়ার্নার। ২০১৭ থেকে ২০১৮—এ সময়ের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা চার সেঞ্চুরি করেছিলেন কোহলি।

সম্পর্কিত খবর

ভিসা মওকুফ প্রোগ্রামে ইসরাইলে প্রবেশের অনুমতির নিন্দা কংগ্রেসওম্যান তালাইবের

Hamid Ramim

ম্যারাডোনার ম্যাচে আর্জেন্টাইন ক্লাবের কাছে হারল বার্সা

gmtnews

হাটুভাঙ্গা বিএনপি এখন লাঠির ওপর ভর করছে: ওবায়দুল কাদের।

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত