অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বিশ্ব সর্বশেষ

সুপেয় পানির সংকটে গাজায় নানা রোগের প্রাদুর্ভাব

যুদ্ধের মধ্যে ফিলিস্তিনের গাজায় দেখা দিয়েছে নতুন এক ঝুঁকি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় বেশ কিছু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। খাবার ও পানির তীব্র সংকটে এমনিতেই গাজায় দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়। এর মধ্যে গৃহহীন গাজার বাসিন্দারা পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

ফিলিস্তিনবিষয়ক জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় বিভিন্ন রোগের জীবাণু ছড়িয়ে পড়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দাদের অনেকেই শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ, ডায়রিয়া ও জলবসন্তে আক্রান্ত হয়েছেন।

প্রায় এক মাস ধরে ইসরায়েলের হামলায় মুখে গাজার প্রায় ১৫ লাখ বাসিন্দা গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৭ লাখ ১৭ হাজার ফিলিস্তিনবিষয়ক জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার ১৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন। এ ছাড়া ১ লাখ ২২ হাজার বাসিন্দা হাসপাতালে, গির্জায় ও সরকারি ভবনে এবং ১ লাখ ১০ হাজার বাসিন্দা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, বাকিরা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে উঠেছেন।

গৃহহীন এসব মানুষকে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। এটাই হয়ে উঠেছে বড় উদ্বেগের বিষয়। গৃহহীন বাসিন্দাদের অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই না পেয়ে পাশের রাস্তায় ঘুমাচ্ছেন।

ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, তারা আর বেশি দিন গাজায় তাদের কার্যক্রম চালাতে পারবে না। এমনকি গত ১২ অক্টোবর ইসরায়েল গাজা সিটি ও উত্তর গাজার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে সেখানকার বাসিন্দাদের সার্বিক পরিস্থিতি ও চাহিদা সম্পর্কে সঠিক তথ্য নেই।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয় দপ্তর (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, গাজা সিটি ও গাজার উত্তর অংশের বাসিন্দারা সুপেয় পানির তীব্র সংকটে আছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সুপেয় পানির জন্য যেসব পাম্প ব্যবহার করে, জ্বালানি–সংকটের কারণে সেসব পাম্পও আর চালানো যাচ্ছে না।

সংস্থাটি বলছে, পানির সংকটে বাসিন্দাদের অনেকে পানিশূন্যতাজনিত রোগে ভুগছেন। অনিরাপদ উৎস থেকে সংগ্রহ করা পানি পান করায় পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। পানির সংকট দেখা দিয়েছে দক্ষিণ গাজাতেও। জ্বালানির অভাবে গত বৃহস্পতিবার থেকে সব পৌর নলকূপ থেকে পানি তোলা বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া দুটি লবণ উত্তোলন প্রকল্পের একটি এখন বন্ধ।

গত শনিবার মিসর সীমান্ত হয়ে গাজায় ঢুকেছে ত্রাণবাহী ছয়টি ট্রাক। এসব ট্রাকে বোতলজাত পানি ছিল। দক্ষিণ গাজার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেওয়া গৃহহীন ব্যক্তিদের এসব পানি দেওয়া হয়। আশ্রয়কেন্দ্রের ৬৬ হাজার মানুষের চাহিদা মেটাতে এক দিনে এই পরিমাণ পানি লাগে।

গত শনি ও রোববার গাজার সাতটি পানি সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় এসব অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে সরবরাহ বন্ধ হওয়াতে সংকট আরও তীব্র হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর

ইংল্যান্ডের জয়ের রাতে ইউরোর আশা বাঁচিয়ে রাখল ইতালি

Shopnamoy Pronoy

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে ফিরল ইংল্যান্ড

Shopnamoy Pronoy

সাবেক মুখ্য সচিব ও বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

News Editor

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত