32 C
Dhaka
May 19, 2024
অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বিশ্ব সর্বশেষ

হাইড্রোজেনের বড় খনির খোঁজ, হতে পারে ‘পৃথিবীর রক্ষাকবচ’

জীবাশ্ম জ্বালানির খোঁজে ফ্রান্সের উত্তর–পূর্বাঞ্চলের একটি খনি এলাকায় খননকাজ চালাচ্ছিলেন দুই বিজ্ঞানী। তাঁরা সেখানে এমন এক জ্বালানির বিপুল মজুত দেখেছেন, যা ছিল অপ্রত্যাশিত। বলা হচ্ছে, এই আবিষ্কার জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট মোকাবিলার বৈশ্বিক পদক্ষেপকে ত্বরান্বিত করবে।

দুই বিজ্ঞানী হলেন জ্যাক পিরনোঁ ও ফিলিপ দে দোনাতো। দুজনই ফ্রান্সের ন্যাশনাল সেন্টার অব সায়েন্টেফিক রিসার্চের গবেষণা পরিচালক। লরাইন খনি অঞ্চলে মিথেন গ্যাসের মজুত দেখতে গবেষণা করছিলেন। গবেষণার একপর্যায়ে সাদা হাইড্রোজেনের বিপুল মজুত শনাক্ত করেন তাঁরা।

জ্যাক পিরনোঁ জানান, প্রথমে কয়েক শ মিটার খনন করার পর অল্প কিছু হাইড্রোজেনের মজুত পাওয়া যায়। এতে অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। কারণ, খনিতে অল্প কিছু হাইড্রোজেন পাওয়ার ঘটনা স্বাভাবিক। কিন্ত খনন যত গভীর হতে থাকে, মজুতের পরিমাণ তত বাড়তে থাকে। ১ হাজার ১০০ মিটার গভীরে ১৪ শতাংশ এবং ১ হাজার ২৫০ মিটার গভীরে ২০ শতাংশ সাদা হাইড্রোজেনের মজুত দেখে তাঁরা অবাক বনে যান।

জ্যাক পিরনোঁ আরও জানান, খনিটিতে যে বিপুল পরিমাণ হাইড্রোজেনের মজুত রয়েছে, এটা তারই ইঙ্গিত দেয়। মজুতের পরিমাণ কেমন হতে পারে, এরপর তার হিসাব কষেন। তাঁদের মতে, সেখানে আনুমানিক ৬০ লাখ থেকে ২৫ কোটি মেট্রিক টন পর্যন্ত হাইড্রোজেন মজুত থাকতে পারে।

Ads by

পিরনোঁ ও দোনাতো জানান, সেখানে কী পরিমাণ হাইড্রোজেনের মজুত রয়েছে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট একটি ধারণা পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। আর এটাই হবে তাঁদের গবেষণার পরবর্তী ধাপ।

পৃথিবীতে এর চেয়ে বড় সাদা হাইড্রোজেনের মজুত আগে আবিষ্কৃত হয়নি বলে দাবি ওই দুই বিজ্ঞানীর। তাঁরা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে এ আবিষ্কার যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ, সাদা হাইড্রোজেন ব্যবহার করলে এতে পরিবেশের ক্ষতি হওয়ার সুযোগ নেই।

সাদা হাইড্রোজেন ‘প্রাকৃতিক’, ‘সোনালি’ ও ‘ভূতাত্ত্বিক’ হাইড্রোজেন হিসেবেও পরিচিত। জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের পর বর্জ্য হিসেবে শুধু পানি নির্গত হওয়ায় একে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি বলা হয়। এ জন্য জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট মোকাবিলায় সাদা হাইড্রোজেন বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

মহাবিশ্বে প্রচুর পরিমাণ হাইড্রোজেন থাকলেও তা অন্যান্য অনেক অণুর সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় রয়েছে। এ ছাড়া বাণিজ্যিকভাবে হাইড্রোজেনের উৎপাদন হলেও এর প্রায় পুরো প্রক্রিয়াটিই জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর। এটা যেমন ব্যয়বহুল, জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর হওয়ায় পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকারক।

অন্যদিকে, সাদা বা প্রাকৃতিক হাইড্রোজেন কারখানায় উৎপাদিত হাইড্রোজেনের তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব। প্রচুর জ্বালানি প্রয়োজন হয়, এমন শিল্প খাতে এর ব্যবহার হলে পরিবেশের দূষণরোধে তা হবে যুগান্তকারী। তবে বিজ্ঞানীরা বলেন, এ জন্য পাড়ি দিতে হবে আরও বহু পথ।

সম্পর্কিত খবর

ডিজিটাল বাংলাদেশের পরবর্তী ধাপ ক্যাশলেস সোসাইটি : জয়

News Editor

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চলচ্চিত্র নির্মাতা গৌতম ঘোষের সাক্ষাৎ

gmtnews

ভ্যাকসিন তৈরির কারখানা স্থাপন হতে পারে গোপালগঞ্জে

News Editor

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত