অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ সর্বশেষ

গণতন্ত্র বিকশিত হয় নির্বাচনের মাধ্যমেই: সিইসি

গণতন্ত্র বিকশিত হয় নির্বাচনের মাধ্যমেই: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গণতন্ত্র বিকশিত হয় নির্বাচনের মাধ্যমেই। নির্বাচনে অংশ না নিলে গণতন্ত্র বিকশিত হবে না।

তিনি বলেন, ‘কে নির্বাচনে অংশ নেবে, কে নেবে না সেটা ফোর্স (জোর) করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে দায়িত্ব থাকবে আহ্বান করা যে- আপনারা আসেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনে অংশ না নিলে কিন্তু গণতন্ত্র বিকশিত হবে না। গণতন্ত্র বিকশিত হয় কিন্তু নির্বাচনের মাধ্যমেই। একটা সুন্দর গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবাইকে চেষ্টা করতে হবে। আমরা অর্থহীন কোনো সংলাপ করছি না।’

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দেশের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি এসব কথা বলেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘স্বচ্ছতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেন্দ্রের ভেতরে ক্যামেরা ও বাইরের মনিটরে সব দেখা যায়। এগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বিচরণ যদি থাকে, তারাও রিপোর্ট করতে পারবেন। একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য এই সমস্ত বিষয়ের প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সৎভাবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা আছে, থাকবে। ব্যাপক অনিয়মের তথ্য আমাদের কাছে আসলে সাহস নয়, আমাদের দায়িত্ব হয়ে যাবে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেয়ার। অনেক বিধান আমাদের অনুকূলে থাকলেও তা প্রয়োগ বাড়াতে হবে। নির্বাচনকে হস্তক্ষেপ মুক্ত রাখতে যা যা করতে হয়, তা করতে হবে।’

সিইসি বলেন, নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে যেন ভোটাররা ভোট দিতে পারে, তা নিশ্চিত করা। অনেক সময় কারচুপি হয়, সেটা যেকোনোভাবে রোধ করতে হবে। আমরা আমাদের সামর্থ্য, দক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা করবো।

তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) সুবিধা পেশিশক্তির ব্যবহার হ্রাস করতে পারে, যেখানে সিল দিয়ে ব্যালট বাক্স পূরণ করা যায় না। কাজেই ইভিএমের ভালো দিক রয়েছে। সংলাপে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা এরই মধ্যে এ নিয়ে কয়েকটি মিটিং করেছি।

সংলাপে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘কথায় কথায় ইসিকে পদত্যাগের কথা বলা হয়। পদত্যাগের পরামর্শ শুভচিন্তা নয়। পদত্যাগে বাহাদুরির কিছু নেই। ভোটে আসা না আসা দলগুলোর নিজের সিদ্ধান্তের বিষয়।’

মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘আপনাদের নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেনি, সেটিই আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম। আপনারা জানেন আপনাদের কাজটা কী? ডানে-বাঁয়ে কিছুই নেই ভালো নির্বাচন করা ছাড়া। নির্বাচন কমিশন হতভাগা প্রতিষ্ঠান। যারাই হেরেছে, তারাই নির্বাচন কমিশনকে দোষ দিয়েছে। কাজেই আপনারা হতাভাগা প্রতিষ্ঠানে এসেছেন। সেটা একটা সাহসের জায়গা।’

সম্পর্কিত খবর

কিছু মানুষ দেশের উন্নয়ন ও অর্জনকে মেনে নিতে পারছে না বলে প্রধানমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ

gmtnews

নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা গর্হিত অপরাধ: সৌদি যুবরাজ

Shopnamoy Pronoy

ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ কমান্ডার পপোভ নিহত

Hamid Ramim

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত