অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ মুজিববর্ষ ও মুক্তিযুদ্ধ সর্বশেষ

বঙ্গবন্ধু আমাদের পররাষ্ট্র নীতির মূল ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু আমাদের পররাষ্ট্র নীতির মূল ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের পররাষ্ট্র নীতির মূলভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বাস রেখেছিলেন ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়’-এই কালোত্তীর্ণ মূলমন্ত্রে। জাতির পিতা জীবদ্দশাতেই মূল্যবোধ এবং আদর্শভিত্তিক পররাষ্ট্র নীতির প্রচলন করেছিলেন, যা যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও প্রশংসা এনে দিয়েছিল। স্বাধীনতা লাভের খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা বিশ্বের অধিকাংশ দেশের স্বীকৃতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতি জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতেও প্রশংসিত হয়েছিল।

গতকাল বিকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলার নতুন সূর্যালোকে ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফিরে আসেন তার প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের কারাগারে থেকে মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসার মাধ্যমে জাতির বিজয় পূর্ণতা লাভ করে।

ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের স্বাধীনতার মতোই তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি যদি ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে না আসতেন, যদি পাকিস্তানি সামরিক জান্তারা তাকে হত্যা করত, তাহলে জাতি আজকের এই বাংলাদেশ পেতো না। বঙ্গবন্ধুর সমালোচকদের কেউ কেউ এখনো বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি শাসকদের গ্রেপ্তারের সুযোগ না দিয়ে আত্মপোপন করতে পারতেন। আত্মগোপনে থেকে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে পারতেন। যারা এ ধরনের কথা বলেন, তারা আসলে সেই সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা সম্পর্কে জানেন না। তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি, বঙ্গবন্ধু রাজনীতি করেছেন সিংহের মতো; বীরের মতো। তিনি লুকোচুরি পছন্দ করতেন না। তিনি তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘আমি পালিয়ে থাকার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। কারণ আমি গোপন রাজনীতি পছন্দ করি না, আর বিশ্বাসও করি না।’ ব্রিটিশ ধাঁচের সংসদীয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ছিল বঙ্গবন্ধুর পছন্দ। আত্মগোপন না করে গ্রেপ্তার হওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবনের সবচেয়ে সঠিক সিদ্ধান্তের একটি।

ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধু হিমালয়ের মতো উঁচু হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বিশ্ব নেতৃত্বের মঞ্চে। বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশ নামের প্রতিশব্দ। দুর্ভাগ্যক্রমে, আমরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হারানোর মধ্য দিয়ে সেই গতিপথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গিয়েছিলাম। ‘সোনার বাংলা’ আরোও অনেক আগেই আমরা পেতে পারতাম যদি বঙ্গবন্ধুকে আমরা রক্ষা করতে পারতাম।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু নেই। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, তার রক্ত যার ধমনীতে, যে রক্ত আপসহীন, যে রক্ত পরাভব মানে না, যে রক্ত হাসিমুখে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে জানে, সেই রক্তের উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত সরকার অর্থনৈতিক মুক্তি এনে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম। অনুষ্ঠানে সম্মানিত বক্তা হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি এবং সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, এফসিএ, ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের স্মৃতি চারণ করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম এ্যাফেয়ার্স) রিয়ার এডমিরাল (অব:) খুরশিদ আলম।

সম্পর্কিত খবর

বিএনপির রাজনীতি আর মাঠে নেই: তথ্যমন্ত্রী

gmtnews

রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ

gmtnews

শীত কুয়াশা দুটোই বাড়তে পারে

Zayed Nahin

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত