অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ সর্বশেষ সোশ্যাল এওারনেস

সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত, উপকূলে জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

পূর্ণিমা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলোয় ২ থেকে ৩ ফুটের অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বুধবার (২ আগস্ট) এক পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

 

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, খুলনা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ-বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থল নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।

স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে।

এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০৩ (তিন) নম্বর (পুনঃ:) ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে পূর্ণিমা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০২-০৩ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এই অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

অন্য এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছেন, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত (পুনঃ) ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া দেশের অন্যত্র দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ

অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৩ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পাবে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকায় আকারে ৪০-৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠে যেতে পারে।

আগামী দু’দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। বর্ধিত পাঁচদিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে। বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নিকলিতে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে টেকনাফে ১১৮ মিলিমিটার। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বৃষ্টিপাত হয়েছে ২২ মিলিমিটার।

সম্পর্কিত খবর

মানবাধিকার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে: মিলার

gmtnews

আখাউড়ায় ভারত ফেরত আরও ৩ জনের করোনা শনাক্ত :

gmtnews

কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে ৪২ হাজার ৯৫৯টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত

Zayed Nahin

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত