অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ রাজনীতি সর্বশেষ

৩০ আসন নিয়ে বিএনপির বক্তব্য তাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য: তথ্যমন্ত্রী

 

 

 

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না’—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, এটা বিএনপির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। ইতিহাসই এর সাক্ষী। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হাছান মাহমুদ। সেখানে সাংবাদিকেরা তথ্যমন্ত্রীকে গতকাল শুক্রবার গাজীপুরে বিএনপির মহাসচিবের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া একাধিকবার বলেছিলেন যে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। ২০০৮ সালে দেশের ইতিহাসে অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছিল। ভাগ্যের এমন নির্মম পরিহাস যে বিএনপি ওই নির্বাচনে মাত্র ২৯টি আসন পায়, ৩০টি আসনও পূর্ণ করতে পারেনি। সুতরাং মির্জা ফখরুল সাহেব যে কথাটি বলেছেন, সেটি বিএনপির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

আগামী যে নির্বাচন হবে, আওয়ামী লীগ আবারও ধস নামানো বিজয় অর্জনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তথ্যমন্ত্রী। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচন হতে দেবে না’—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা স্বপ্ন দেখতে পারে, স্বপ্ন দেখতে তো দোষ নেই। তবে এ স্বপ্ন তাদের জন্য দুঃস্বপ্ন। কারণ, এটা কখনো বাস্তবায়িত হবে না।

আইন অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশ যেমন ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ইউরোপের দেশগুলোয় যেভাবে নির্বাচন কমিশনের অধীন নির্বাচন হয়, ক্ষমতাসীন সরকার নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে, আমাদের দেশেও সেভাবেই নির্বাচন হবে।’

সাংবাদিকেরা তথ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চান—‘বিএনপি রাজনীতিকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে কি না’। হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি সংঘাত চায়। তারা রাজনীতিকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মুন্সিগঞ্জে নিজেদের কর্মীকে নিজেরা মেরেছে, ভবিষ্যতেও মারবে এবং সরকারের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করবে। তারা তো এ রাজনীতিই করে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা তো তারাই করেছিল। আহসান উল্লাহ মাস্টার, কিবরিয়া সাহেবকেও তো তারাই হত্যা করেছিল। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি হত্যার রাজনীতিই করে। জিয়াউর রহমানও হত্যার মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। বেগম জিয়াও কম যাননি। তারা মূলত সংঘাতের রাজনীতি করে, সংঘাত পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। কিন্তু দেশের মানুষ সেটি হতে দেবে না। এর আগে ইউল্যাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন হাছান মাহমুদ। সেখানে মানুষকে পরিপূর্ণ হিসেবে গড়ে তোলার কারখানা বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখ করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জীবন একটি যুদ্ধক্ষেত্র। উজান ঠেলে পাড়ি দেওয়া, স্রোতের বিপরীতে এগিয়ে চলা। যারা জীবনকে যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে নেবে, তারা জীবনে জয়ী হতে পারবে। জীবন চলার পথে অনেক প্রিয়জনকে হারাতে হতে পারে, খানিক থমকে গেলেও যুদ্ধ বন্ধ করা যাবে না।

 

সূত্রঃ প্রথম আলো ।

সম্পর্কিত খবর

গাজা জুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়ার সংখ্যা ৮ হাজারের অধিক হয়ে উঠেছে, এ তথ্যটি হামাস দ্বারা জানানো হয়েছে

Hamid Ramim

এ বছরের প্রিমিয়ার লিগ কেন রোমাঞ্চকর

Shopnamoy Pronoy

কাজের মধ্যে অবশ্যই স্বচ্ছতা আনতে হবে : মন্ত্রিপরিষদ সচিব

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত