অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
অর্থনীতি বাংলাদেশ সর্বশেষ

কৃষিপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী

কৃষিপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী

দেশের কৃষিপণ্য রপ্তানিতে সরকার বেশি গুরুত্ব দেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সোমবার (৪ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে আইসিটি ডিভাইস রপ্তানি। সেই সঙ্গে কৃষিপণ্য, খাদ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাত করা। এভাবে একটার পর একটা করলে বাংলাদেশে আর কোনও আর্থিক সমস্যা থাকবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিশেষ করে কৃষিজাত পণ্য রপ্তানির দিকে নজর দিচ্ছি। তার জন্য প্রথমেই দরকার ফসল ক্ষেত থেকে তোলার পর তা সংরক্ষণ করা এবং কার্গোতে তুলে দেয়া। তার জন্য কার্গো ভিলেজ করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা জমি থেকে ফসলটা তুলে তা কীভাবে রাখব এবং কার্গোতে তুলে দিব, সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। আমাদের একটি কার্গো ভিলেজ করতে হবে। যেখানে বিভিন্ন চেম্বার থাকবে। সেখানে কোন ফসলটা কোন তাপমাত্রায় ভাল থাকে, তা ঠিক করার মতো ব্যবস্থা থাকবে।”

কার্গো ভিলেজের বিষয়ে তিনি বলেন, সেখানে বিভিন্ন চেম্বার থাকবে। কোন ফসল-কোন তরকারিটা হবে, কোনটা কত ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভালো থাকে—এগুলোর কিন্তু আন্তর্জাতিক গবেষণার ফলাফল আছে।

তিনি আরও বলেন, আমি নিজে নেদারল্যান্ডসে দেখেছি, আমাদের দেশেও এটা করবো। ক্ষেত থেকে কার্গোতে নিয়ে আসার জন্য সেই ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। এখন আমরা কার্গো ফ্লাইট ভাড়া নিয়ে বিদেশে পণ্য পাঠাই, কিন্তু আমাদের নিজস্ব কয়েকটি কার্গো বিমান দরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি,  তার যে অঞ্চলে যে ফসলটা ভালো হবে, সে ফসলকে প্রক্রিয়াজাত করার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হবে।  আমরা যদি বেশি প্রক্রিয়াজাত করতে পারি, তাহলে বৈদেশিক মুদ্রাও বেশি উপার্জন করতে পারব।”

আইসিটি ও ডিজিটাল ডিভাইস এবং কৃষিপণ্য রপ্তানি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে কাঙ্ক্ষিত সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে স্বনির্ভর জাতি গঠনে অবদান রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ক্ষেত থেকে ফসল সংগ্রহের পর সঠিকভাবে মোড়কজাত করে সরাসরি এয়ার কার্গোতে রপ্তানি করলে অপচয় কমবে, সেজন্য তিনি বাংলাদেশ বিমানকে নিজস্ব কার্গো সক্ষমতা তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। 

দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ এনিয়ে নিজস্ব গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং একইসাথে আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে। 

উল্লেখ্য, ২০২১ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো কৃষিপণ্য রপ্তানি শত কোটি ডলারে পৌঁছায়।

সম্পর্কিত খবর

বাংলাদেশ-দক্ষিণ সুদান সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত

News Editor

নেপালের সঙ্গে ড্র করে বিদায় বাংলাদেশের

gmtnews

করোনায় বাংলাদেশকে ১১.৪ মিলিয়ন ডলার দেয়ার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

News Editor

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত