30 C
Dhaka
April 29, 2024
অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
ক্রিকেট খেলা বাংলাদেশ সর্বশেষ

সাকিব নৈপুন্যে শীর্ষে বরিশাল

সাকিব নৈপুন্যে শীর্ষে বরিশাল

প্রথমে ব্যাট হাতে ৫০ ও পরে বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ফরচুন বরিশালকে টানা দ্বিতীয় এনে দিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অষ্টম আসরের ১৬তম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৬ রানে হারিয়েছে সাকিবের ফরচুন বরিশাল।

এই জয়ে ৬ খেলা শেষে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে এককভাবে টেবিলের শীর্ষে উঠলো সাকিবের বরিশাল। ৭ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানে চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ইনিংসের তৃতীয় বলেই চট্টগ্রাম পেসার শরিফুলের  শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার।

তবে পাওয়ার প্লের সুবিধা ঠিক-ঠাক নিতে পারেননি আরেক ওপেনার হার্ড-হিটার ক্রিস গেইল। পাওয়ার প্লেতে ১৪ বলে ১৫ রান করেন তিনি। মুনিমের আউটে প্রথম ওভারেই ক্রিজে আসা নাজমুল হোসেন শান্তরও একই চিত্র ছিলো। ২০ বলে ১৭ রান তুলেন তিনি। এতে ৬ ওভারে ৩৪ রান পায় বরিশাল।

তবে চট্টগ্রামের ইংলিশম্যান উইল জ্যাকসের সপ্তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা ও তৃতীয় ডেলিভারিতে বাউন্ডারি মারেন গেইল। আর পঞ্চম বলে লং-অনে মেহেদি হাসান মিরাজকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ১৯ বলে ২৫ রান করা ইউনিভার্স বস।

উইকেটে ১১ ওভার পর্যন্ত টিকে থাকলেও, টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট করতে পারেননি শান্ত। ১৪ রানে জীবন পেয়ে ২৮ রানে থামেন শান্ত। আফিফের করা ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কার মারার পরের ডেলিভারিতে সমাপ্তি ঘটে শান্তর ইনিংসের। ২৯ বল খেলে ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি।

গেইলের আউটের পর উইকেটে গিয়েই ব্যাট হাতে চড়াও হন সাকিব। ১৫তম ওভারে স্পিনার নাসুম আহমেদকে পরপর তিন বলে ছক্কা মারেন সাকিব। পরের ওভারে  বেনি হাওয়েলকে ছক্কা মারতে পারলেও, ওভারের শেষ বলে বিদায় নিতে হয় তৌহিদ হৃদয়কে।

১৭তম ওভারের প্রথম বলে ১ রান নিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ২০তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব। মাত্র ৩০ বল খেলেছেন তিনি। তবে মৃত্যুঞ্জয়ের ঐ ওভারের তৃতীয় বল, অন-সাইডে খেলতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে আফিফকে ক্যাচ দেন সাকিব। ৩১ বলে ৫০ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে সমান ৩টি বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি ছিলো।

দলীয় ১৩২ রানে সাকিবের বিদায়ের পর বরিশালের পরের দিকের কোন ব্যাটারকে  দু’অংকের কোটা স্পর্শ করতে দেননি চট্টগ্রামের মৃত্যুঞ্জয়। মৃত্যুঞ্জয়ের তোপে ১৯ দশমিক ১ ওভারে ১৪৯ রানে অলআউট হয় বরিশাল।

১৯তম ওভারে তিন উইকেট নেন এবারের আসরের একমাত্র হ্যাট্টিক ম্যান মৃত্যুঞ্জয়। ঐ ওভারের প্রথম বলে নুরুলকে ০, তৃতীয় বলে ইরফান শুক্কুরকে ৫ ও চতুর্থ বলে আফগানিস্তানের মুজিব উর রহমানকে ১ রানে শিকার করেন তিনি। ফলে আবারও হ্যাট্টিকের সুযোগ এসেছিলো মৃত্যুঞ্জয়ের সামনে। কিন্তু এবার আর সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ।

চট্টগ্রামের সপ্তম বোলার হিসেবে ইনিংসের ১৭তম ওভারে আক্রমনে এসে ২ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয়। ২ উইকেট নেন শরিফুল।

১৫০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই উইল জ্যাকসকে হারায় চট্টগ্রাম। জ্যাকসকে খালি হাতে ফেরান আফগানিস্তানের স্পিনার মুজিব উর রহমান।

এরপর ৬০ বলে ৭০ রানের জুটি গড়েন আরেক ওপেনার আফিফ হোসেন ও শামিম হোসেন পাটোয়ারি। ৩৯ রান করা আফিফকে শিকার করে বরিশালকে প্রয়োজনীয় ব্রেক-থ্রু এনে দেন সাকিব।

পরের ওভারে শামিমকে ২৯ রানে থামান বাঁ-হাতি পেসার মেহেদি হাসান রানা। এতে দলীয় ৭৬ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। এরপর চট্টগ্রামের ব্যাটিং ইনিংসে ধস নামান মুজিব ও সাকিব। ফলে ৯৬ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়ে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে চট্টগ্রাম।

শেষদিকে, মেহেদি হাসান মিরাজের ঝড়ো ২৬ রান আশা জাগালেও, শেষ রক্ষা হয়নি চট্টগ্রামের। ১৩৫ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম। ১৩ বল খেলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন মিরাজ।

বরিশালের মুজিব ৯ রানে ও সাকিব ২৩ রানে ৩টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন সাকিব।

সম্পর্কিত খবর

পাকিস্তানে আফগান অভিবাসীদের পুনরায় পাঠানো শুরু হয়েছে

Hamid Ramim

বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ছয় দফা ছিল ‘ম্যাগনা কার্টা’

gmtnews

ছয় জেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে নিহত ১১, আহত ৩৩

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত