34 C
Dhaka
April 27, 2024
অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ সর্বশেষ

বঙ্গভবনে স্বাধীনতা দিবসের সংবর্ধনায় ভুটানের রাজার যোগদান

ঢাকা, ২৬ মার্চ, ২০২৪ (বাসস): রাষ্ট্রপতি মো সাহাবুদ্দিন এবং তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা আজ বঙ্গভবনে দেশের ৫৪তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উপলক্ষে এক সংবর্ধনার আয়োজন করেন। বাংলাদেশ সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
৫৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে ভুটানের রাজা এখন চারদিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে রয়েছেন।
বিকাল ৫টার দিকে ভুটানের রাজা তার স্ত্রী রানী জেটসুন পেমাকে নিয়ে বঙ্গভবনের লনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সংবর্ধনায় প্রায় ২৬০০ জন অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা, রাষ্ট্রপতির পতœী ড. রেবেকা সুলতানা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ও প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ।
আমন্ত্রিতদের মধ্যে মন্ত্রিসভার সদস্য, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, ভুটানি প্রতিনিধিদলের সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংসদ সদস্য, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, শিল্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরশ্রেষ্ঠ বীরত্ব পুরস্কার প্রাপ্তদের পরিবারের সদস্য ও বিশিষ্ট নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।
শীর্ষ পর্যায়ের বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন, ভুটানের রাজা জিগমে খেসার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা এবং ভুটানের রানী সবুজ মাঠের পূর্বদিকে ভিভিআইপি এনক্লোজারে রাখা একটি কেক কাটেন।
তারা একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং একটি ফটো সেশনে অংশ নেন।
এছাড়া তারা অনুষ্ঠানে আহত মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তি ও অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে সংবর্ধনা শেষে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
এর আগে দেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
মোনাজাত পরিচালনা করেন বঙ্গভবন জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা এম সাইফুল কবির।
প্রতি বছর, ২৬শে মার্চ ইতিহাসের অন্ধকারতম পর্বের সবচেয়ে করুণ স্মৃতিকথা নিয়ে আসে যা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত থেকে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী অগ্নিপরীক্ষার সূচনা করেছিল এবং  রক্তের সমুদ্র পেরিয়ে একই বছরের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।
তৎকালীন পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর সামরিক দমন-পীড়নের পরিপ্রেক্ষিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে ২৬শে মার্চ (২৫ মার্চের গভীর রাতে) ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের ঐতিহাসিক বাসভবনে রাত ০০-৩০ মিনিটে তৎকালীন ইপিআর (ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস) ওয়ারলেসের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
এ দিনটি বাঙালি জাতির কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও মূল্যবান।

সম্পর্কিত খবর

জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার

gmtnews

জেল হত্যা মামলার রায় কার্যকর করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সরকার : কামাল

gmtnews

তিন কোটির বেশি করোনার বুস্টার ডোজ দেবে যুক্তরাজ্য

News Editor

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত