30 C
Dhaka
May 2, 2024
অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ সর্বশেষ

পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে আমরা অপমানের প্রতিশোধ নিয়েছি: সেতুমন্ত্রী

পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে আমরা অপমানের প্রতিশোধ নিয়েছি: সেতুমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে আমরা আমাদের অপমানের প্রতিশোধ নিয়েছি।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সক্ষমতার প্রতীক, এটা সত্য। তার চেয়েও বড় সত্য আমরা আমাদের অপমানের প্রতিশোধ নিয়েছি।’

সেতুমন্ত্রী আজ মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘গোটা জাতি আজকে আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) স্যালুট করে। সারা বিশ্বে আজকে আপনি প্রশংসিত। আপনি প্রমাণ করেছেন আমরাও পারি, আপনি বলেছেন, নিজের টাকায় করবো। প্রমাণ করেছেন নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করেছেন। মাথা নত করেননি বঙ্গবন্ধু কন্যা। কী দুঃসময়, কঠিন সময় দেশে-বিদেশে সব চক্রান্ত উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন আমরা বীরের জাতি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কেবল একা নন, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির কী অপরাধ ছিল। একটা পরিবারকে টার্গেট করে হেনস্তা করা হয়েছিল। একটা পরিবারকে অপমান করা হয়েছে। বাঙালি জাতিকে অপমান করা হয়েছে। এই প্রকল্প থেকে সরে গিয়ে। অপবাদ দিয়েছে দুর্নীতির। অনেককেই অপমান করা হয়েছে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে গিয়ে।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে কাজ শুরু করা ছিল চ্যালেঞ্জের। এই সেতু নির্মাণে অন্য কারও কৃতিত্ব নেই, সব কৃতিত্ব একজনের। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সারা বাংলার দাবি ছিল শেখ হাসিনার নাম পদ্মা সেতুতে যুক্ত করতে। তিনি নাকচ করে দিয়েছেন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার মতো এমন কমিটেড মানুষ যদি না থাকতেন এমন সংকট, এত প্রতিবন্ধতা অতিক্রম করতে পারতাম না। যারা পদ্মা সেতুর নির্মাণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তারা জানেন এখানে কাজ করা কঠিন ছিল। বঙ্গবন্ধুর কন্যার ডাকে সাড়া দিয়ে পদ্মা পাড়ের অনেক মানুষ যারা তাদের বাপ-দাদার বাড়ি ছেড়ে দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর জন্য একজনেরই কৃতিত্ব। তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। কেন পদ্মা সেতুর সঙ্গে তার নাম থাকবে না, সেটাই ছিল সবার দাবি। কিন্তু তিনি সেটি গ্রহণ করেননি। কাগজের লেখা নাম ছিঁড়ে যাবে, ব্যানারে লেখা নাম ছিঁড়ে যাবে, পাথরে লেখা নাম মুছে যাবে, কিন্তু হৃদয়ে লেখা নাম রয়ে যাবে। যতদিন পদ্মা সেতু থাকবে সম্মানের সঙ্গে আপনার নামটি উচ্চারিত হবে।

এর আগে স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। শনিবার সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারযোগে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সমাবেশস্থলে পৌঁছান।

সম্পর্কিত খবর

নভেম্বর থেকে খুলছে থাইল্যন্ডের প্রধান প্রধান পর্যটন কেন্দ্র

gmtnews

তুরস্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকটিকেট অবমুক্ত

News Editor

বিজয়কে নেওয়ার যে ব্যাখ্যা দিলেন সাকিব

Zayed Nahin

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত